শেখ খায়রুল ইসলাম, পাইকগাছা খুলনা প্রতিনিধি : খুলনার পাইকগাছায় শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিরাজ করছে সাজ সাজ রব।সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব হলো শারদীয় দুর্গাপূজা। দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের জন্যই দেবী দূর্গার স্বর্গ থেকে আগমন ঘটেছিল মর্ত্যলোকে।
এরই ধারাহিকতায় সনাতনধর্মাবলম্বীরা প্রতি বছর শারদীয় দূর্গা উৎসব উদযাপন করেন। আগামী ১১ অক্টোবর সোমবার ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হবে শারদীয় দূর্গাপুজা। এ উপলক্ষে পাইকগাছা উপজেলার প্রতিটি মন্দিরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃত শিল্পীরা। কাশফোটা শিউলি শরতেই এই শারদীয় দূর্গা উৎসব।আর এই উৎসবকে পরিপূর্ণ রুপ দিতেই মন্দিরগুলোতে চলছে দূর্গাপুজার প্রস্তুতি। দেবীকে স্বাগত জানাতে সর্বত্র আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে। হিন্দু ধর্মের নারী-পুরুষ সব বয়সী মানুষ শারদীয় দূর্গাপুজাকে স্বার্থক করতে এখন প্রহর গুনছেন।
সব মিলিয়ে ব্যাপক প্রস্তুুতি চলছে প্রতিটি পূজামন্ডপে। পাইকগাছা উপজেলার পূজা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা। পূজার সময় যতই ঘনিয়ে আসছে প্রতিমা তৈরির কাজও এগিয়ে চলছে দ্রুতগতিতে। উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও খড় দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ।
আবার কোথাও শিল্পীর সুনিপুণ হাতের ছোঁয়ায় কৃত্রিম জীবন পাচ্ছেন মা দুর্গা, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, অসুর ও শিব মূর্তি। কোনো কোনো মূর্তিতে পরানো হয়েছে শাড়ি, হাতের বালাসহ অন্যান্য গয়না। দেবী দূর্গা আগমন হবে ঘোড়াই আর প্রস্হান হবে দোলায় চড়ে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় আছেন। সনাতন ধর্মালবম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হবে ১১ অক্টোবর। ১৫ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দূর্গা উৎসব।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।